
দুই মৌসুম পর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ফিরলেন সাকিব আল হাসান। তবে প্রত্যাবর্তনের মঞ্চে আলো ছড়ানোর বদলে ব্যাটে-বলে কাটল বাজে একটা দিন। তাইতো বলতে হয় অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্সের হয়ে ক্যারিবিয়ান সুপার লিগে সাকিবের ফেরাঃভ সুখকর হলো না। ব্যাট হাতে ১৬ বলে মাত্র ১১ রান করেছেন, বোলিংয়ে এক ওভারে ৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে তার দলও লড়াই করতে ব্যর্থ। এদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২১ রানে অল আউট হয় অ্যান্টিগা। জবাবে ১৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জিতে গেছে সেন্ট কিটস। ৪ উইকেটে ৯৫ রান করা অ্যান্টিগা ওয়াকার সালামখিলের স্পিনে ভরাডুবি দেখে। বাসেটেরেতে লো স্কোরিং ম্যাচ দিয়ে শুরু হলো সিপিএল। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ওয়াকার সালামখিলের চমৎকার বোলিংয়ে ৬ উইকেটে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডাকে হারিয়েছে।
জেসন হোল্ডার টসে জিতে বোলিং নেওয়ার পর পঞ্চম ওভারের মধ্যে ৩৯ রানে তিন উইকেট নেন কাইল মায়ার্স, ফজলহক ফারুকী ও নাসিম শাহ। অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সালামখলি। চতুর্থ বলেই ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে ফেরান তিনি। থারপর সাকিব, ইমাদ ওয়াসিম ও ওডিন স্মিথকে নিজের শিকার বানান। চার ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন এই আফগান রিস্টস্পিনার।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটার কারিম গোরের হাফ সেঞ্চুরিতে সম্মানজনক স্কোর গড়ে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা। তার ৩৪ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ২ ছয়। ১২তম ওভারে তাকে আন্দ্রে ফ্লেচারের ক্যাচ বানান ফারুকী।
১২২ রানের লক্ষ্যে সেন্ট কিটস শুরুটা দারুণ করে। ১৩ বলে এভিন লুইস ২৫ রান করে চতুর্থ ওভারে ওবেড ম্যাককয়ের শিকার হন। পাওয়ার প্লেতে শুধু তাকে হারিয়ে ৫৫ রান তোলে দল। সপ্তম ওভারে রাকিম কর্নওয়াল ফেরান কাইল মায়ার্স ও রাইলি রুসোকে। ৫৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ছোট ধাক্কা খায় তারা।
তবে ফ্লেচার ও আলিক আথানেজ দাঁড়িয়ে যান। ১৯ বলে ২৬ রান করে ফ্লেচার দশম ওভারে গজনফরের কাছে উইকেট হারান। ততক্ষণে সেন্ট কিটসের স্কোর ৭৬। আথানেজ ২৮ বলে অপরাজিত ৩৭ ও হোল্ডার ১৪ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থেকে পাঁচ ওভার আগেই জয় নিশ্চিত করেন। ৬ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সালামখিল।