নিহত হুথি নেতাদের জানাজায় ইসরায়েলি হামলাকারীলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বৃহত্তম মসজিদে ১২ জন জ্যেষ্ঠ হুথি নেতার জানাজায় হাজার হাজার শোকাহত ব্যক্তি অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্টও ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবারের হামলায় দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের হত্যা করে ইসরায়েল। শীর্ষ হুথি নেতা আব্দুল মালিক আল-হুথির রেকর্ড করা টেলিভিশন ভাষণ দেখতে জড়ো হওয়া বিপুল সংখ্যক লোকের ওপর ১০টি বিমান হামলা চালানো হয়। এতে হুথি সরকারের মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্য নিহত হন। এই হামলায় প্রধানমন্ত্রী আহমেদ গালেব আল-রাহভির মৃত্যুর পর গত শনিবার সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হন মিফতাহ আল সালেহ। শোকাহতদের সমাবেশে নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা সাম্রাজ্যের মুখোমুখি। সমগ্র জায়নবাদী সত্তা – মার্কিন প্রশাসন, ইহুদিবাদী সরকার, ইহুদি আরব এবং ইয়েমেনের অভ্যন্তরেও গুপ্তচরদের মুখোমুখি। তিনি প্রতিশোধের পাশাপাশি গুপ্তচরদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় শোকাহত হুথিরা আমেরিকার মৃত্যু, ইসরায়েলের মৃত্যু, জায়নিস্টদের ওপর অভিশাপ, ইসলামের বিজয় বলে স্লোগান দেন।

এদিকে, জানাজা অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিও একটি বিবৃতি জারি করেন। তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট লোহিত সাগরে একটি ইসরায়েলি তেল ট্যাংকারকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী গাজার সমর্থনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *