বিদেশে নেওয়ার নামে রাশেদ সরদার প্রতারণা,আদালতে মামলা

বিদেশে কর্মসংস্থানের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাশেদ সরদার নামে এক দালালের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের দাবি দালাল চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাউকে বিদেশ পাঠায়নি। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার এক ভুক্তভোগী দালাল চক্রের বিরুদ্ধে শরীয়তপুর বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত আসামীরা হলেন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছয়গাও ইউনিয়নের পাপরাইল এলাকার দুলু সরদারের ছেলে রাব্বি সরদার, রাশেদ সরদার, মুক্তা বেগম ও রিয়া আক্তার।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রাশেদ সরদারের ভাই রাব্বি সরদার দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কাজ করে এবং মালোশিয়া বসবাস করে। বাংলাদেশে এজেন্ট হিসেবে শরীয়তপুরে তার ভাই রাশেদ সরদার সহ কয়েকজন এলাকার নিরীহ ও বেকার যুবকদের পাসপোর্ট ও টাকা সংগ্রহ করে। এরপর দালাল চক্র মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে। প্রতিশ্রুত সময় পার হলেও কাউকে বিদেশ পাঠানো হয়নি। টাকা ফেরত চাইলে ভুক্তভোগীরা হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আশিকুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগীকে মালোশিয়া নেওয়ার কথা বলে এক বছর আগে পাসপোর্ট ও সাত লক্ষ টাকা নেন রাশেদ সরদার। এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও ভিসা দিতে পারেন নি চক্রটি। এবছরের ফেব্রুয়ারী মাসে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি ধামকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত দালাল রাশেদ সরদার। এনিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টাও হয়। তবে রাশেদ সরদার টাকা ফেরত না দিয়ে নানান টালবাহানা শুরু করে। পরে ভুক্তভোগী আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শরীয়তপুরের আদালতে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

সাইফুল ইসলাম নামে ডামুড্যা উপজেলার এক ভুক্তভোগী বলেন, “আমার ভাইকে মালোশিয়া নেওয়ার কথা বলে সাত লাখ টাকা নিয়েছিল। এক বছর পার হলেও বিদেশে যেতে পারেনি। একাধিক বার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে এখন টাকা ফেরত দিচ্ছে না।

আশিকুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগী বলেন,“পরিবারের লোকজনকে ভালো রাখতে প্রবাসে যেতে চেয়েছিলাম। রাশেদ সরদারের ভাই রাব্বি সরদার বিদেশে লোক আনানেওয়ার কাজ করে। তাই বিশ্বাস করে রাশেদ সরদারের কাছে পাসপোর্ট ও টাকা দিয়েছিলাম। একবছর হয়ে এখনো ভিসা দিতে পারছে না। একাধিকবার স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করেছি। টাকা ফেরত দিবে বলে দিচ্ছে না। আমি টাকা ও পাসপোর্ট ফেরত চাইলে আমাকে হুমকি ধামকি দেয়। আমি ঋণ করে টাকা দিয়েছি। কিন্তু প্রতারণার শিকার হয়ে এখন পথে বসেছি। এখন মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো.নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *