দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে আফতাবনগর-বনশ্রীবাসীর। এই দুই এলাকার লাখ লাখ মানুষের চাহিদা ছিল যেন দুই এলাকার মধ্যে সংযোগ সেতু হয়। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আফতাবনগর-বনশ্রীর মাঝে ৩টি সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। আগামীকাল এই তিন সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র জোবায়ের হোসেন বলেন, আগামীকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বনশ্রী-আফতাবনগর অঞ্চলের বাসিন্দাদের সহজে যাতায়াতের জন্য নড়াই নদীর (রামপুরা খাল) উপর ৩টি সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন। লেকভিউ রোড, আফতাবনগরে এই কাজ শুরু হবে।
জানা গেছে, আগের বাঁশের সাঁকোর স্থানে সেতুগুলো নির্মাণ হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এখানে ২টি সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে যা দিয়ে মানুষসহ গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স পারাপার হতে পারবে। এছাড়া আরেকটু সেতুও নির্মাণ হবে যা দিয়ে শুধু মানুষ চলাচল করবে।
আফতাবনগর-বনশ্রীর মধ্যে বয়ে চলা এই খালটি আসলে নড়াই নদী। প্রস্তাবিত এখানকার সেতুর নাম হবে “নড়াই সেতু”। এটাকে সবাই বনশ্রী খাল নামে চিনলেও, আশির দশকেও এটি ছিল প্রবাহমান নড়াই নদী। অবৈধ দখলের মাধ্যমে নদীর প্রবাহ রুদ্ধ করে একে খালে রূপান্তর করা হয়। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে একে পুনরায় ‘নড়াই নদী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। গত ১৯ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ আফতাবনগর-বনশ্রী এলাকা পরিদর্শন করে ঘোষণা দিয়েছিলেন, আফতাব নগর থেকে বনশ্রী যাওয়া-আসার জন্য প্রধান সড়ক ছাড়া বিকল্প কোনো মাধ্যম নেই। তাই এলাকাবাসীর সুবিধার্থে এই নড়াই নদীর উপর দুইটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে যা এই দুই আবাসিক এলাকার মধ্যে সহজ ও সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে।
সেসময় প্রশাসক বলেন, প্রস্তাবিত এ সেতুর নাম হবে “নড়াই সেতু”। যে খালটিকে আমরা আজ বনশ্রী খাল নামে চিনি, আশির দশকেও এটি ছিল প্রবাহমান নড়াই নদী। অবৈধ দখলের মাধ্যমে নদীর প্রবাহ রুদ্ধ করে একে খালে রূপান্তর করা হয়। আমাদের উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে একে পুনরায় ‘নড়াই নদী’হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এই নদী রক্ষা করতে পারলে ভবিষ্যতে রামপুরা থেকে নৌপথে শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও বালু নদী হয়ে সদরঘাট ও মিরপুর পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন চালু করার সম্ভাবনা তৈরি হবে।