“কোনোদিন জাগিবে না আর
জানিবার গাঢ় বেদনার
অবিরাম— অবিরাম ভার
সহিবে না আর—”
আজ ২২ অক্টোবর।
কবি জীবনানন্দ দাশের ৭১তম প্রয়াণ দিবস।
কার্তিকের রোদ আজ নরম হয়ে নামে মাঠের বুকে,
ধানের শীষে জমে শিশিরের স্বপ্ন। বাতাসে ভাসে এক গভীর নিস্তব্ধতা… যেন প্রকৃতি নিজেই থমকে দাঁড়িয়ে আছে বাংলা কবিতার নীরবতম কবির স্মৃতিতে শ্রদ্ধাবনত হয়ে।
তিনি শুনেছিলেন বাংলার হৃদস্পন্দনের শব্দ, দেখেছিলেন জীবনের সবচেয়ে নিঃশব্দ আলো। তাঁর কবিতায় জেগে থাকে এক গভীর একাকিত্ব,
যেখানে রোদ পড়ে ধীরে, ধানের গন্ধে মিশে থাকে স্বপ্নের সুর।
“হাতে হাত ধ’রে ধ’রে গোল হয়ে ঘুরে— ঘুরে— ঘুরে,
কার্তিকের মিঠা রোদে আমাদের মুখ যাবে পুড়ে;
ফলন্ত ধানের গন্ধে— রঙে তার— স্বাদে তার ভ’রে যাবে আমাদের
সকলের দেহ।”
জীবনানন্দ দাশ, যিনি নীরবতাকে বানিয়েছিলেন ভাষা,
আর নিঃসঙ্গতাকে করেছিলেন চিরন্তন সৌন্দর্যের প্রতীক। তিনি চলে গিয়েও রয়ে গেছেন বাংলার মাটিতে, গোধূলির আলোয়, আর আমাদের নিঃশব্দ হৃদয়ের গহীনে। তিনি এখনো আছেন ধানের গন্ধে, শীতল বাতাসে, কার্তিকের মিঠে রোদে, আমাদের নিঃশব্দ দুপুরগুলোর ভিতর, বিকেলগুলোর ভিতর, রাতগুলোর ভিতর।
“জীবনানন্দ মানে নীরবতারও এক অনন্ত প্রতিধ্বনি।”