আপনি কি বাচ্চার সারা সপ্তাহের টিফিন নিয়ে চিন্তিত?

শিশুদের স্কুলের টিফিন নিয়ে মায়েদের চিন্তার অন্ত থাকে না। কি দেবেন বাচ্চার টিফিন, এই নিয়ে মায়েদের চলে নানা গবেষণা। বাচ্চারাও নিত্যনতুন টিফিনের বায়না জুড়ে থাকে মাঝেমধ্যেই। কিছু ব্যাপার মাথায় রেখে শিশুর জন্য পাঁচ দিনের টিফিন আগে থেকে তৈরি করে সংরক্ষণ করার নিয়ম শিখে ফেললেই মায়েদের আর বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে, খাবারের পুষ্টি, নিরাপত্তা এবং সতেজতা যেন বজায় থাকে। টিফিন যেভাবে দিয়েছিলেন সেভাবেই যদি ফেরত আসে তাহলে বুঝতে হবে আপনার সন্তান ধরনের খাবার খেতে চাচ্ছে না। রোজ রোজ একই টিফিন খেতে কার ভালো লাগবে। আবার রোজ নিত্যনতুন টিফিনের ্যবস্থা করাও কম ্যাপা না। সমাধান করতে খেয়াল রাখবেন দুটো বিষয়েখাবারের পুষ্টিগুণ এবং সহজে খাওয়া যায় এমনকিছু।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রতিটি শিশুর বেড়ে ওঠা ভিন্ন। কোন বয়সে কী পরিমাণ পুষ্টি শরীরে প্রয়োজন সেটা জেনে নিয়ে মাবাবা সিদ্ধান্ত নেবেন তাদের সন্তান কোনটা পছন্দ করে। যে কোনও ধরনের জাঙ্ক ফুড নিয়মিত খাওয়ানো যাবে না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নুডলস বা পাস্তা জাতীয় খাবারের ক্ষেত্রে সেদ্ধ করে ঠান্ডা করুন। পাস্তা সসটা সকালে সহজেই রেডি করে দেওয়া যায় যেন। চিকেন, সবজি রান্না করে ফ্রিজে রাখুন। সবজি কেটে বা হালকা স্টিম করে রাখলে, দ্রুত টিফিন বানানো যায়।

কিমা আর ছোলার ডাল সেদ্ধ করে চপ বানিয়ে ডিপে রেখে দিতে পারেন। যেটাই বানাবেন ফ্রিজে রাখার সময় এয়ারটাইট কন্টেইনার ব্যবহার করুন। ফ্রিজে রাখার আগে খাবার পুরো ঠান্ডা হতে হবে।

নিজের সুবিধার্থে লেবেল রোটেশন মনে রাখতে প্রতিটি কন্টেইনারে তারিখ লিখে দিন, যাতে কোনটা আগে খাবেন তা সহজে বোঝা যায়। সপ্তাহের শুরুতে রোটেশন করে রাখুন, পুরনো খাবার আগে ব্যবহার হবে।

খেয়াল রাখবেন স্কুলের জন্য নরমাল তাপমাত্রার খাবার বেশি ভালো। যেমনস্যান্ডউইচ, রোল, ফ্রিজড ফ্রুট কিউব। ছোট লাঞ্চ বক্সে ভিন্ন ধরনের খাবার মিলিয়ে রাখুন, যাতে আপনার সন্তান খেতে আগ্রহী হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *